০৯:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হাদির ওপর হামলার ঘটনায় নির্বাচনে প্রভাব নিয়ে যা বললেন ইসি মাছউদ কুমিল্লা সদর দক্ষিণ ইউএনও’র প্রশংসনীয় উদ্যোগ অফিসে প্রবেশের জন্য অনুমতির প্রয়োজন নেই কুমিল্লা সদর দক্ষিণে সিএনজি উল্টে শিক্ষক নিহত কুমিল্লা সদর দক্ষিণে আশ্রয়ন প্রকল্পে মাদক বিরোধী যৌথ অভিযান, দুইজনের কারাদণ্ড কুমিল্লায় চমক দেখালেন মনিরুল হক চৌধুরী কুমিল্লা নামে বিভাগ চেয়ে এবার কাতার প্রবাসীদের স্মারকলিপি প্রদান ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ অভিনেতার পৌর মেয়রসহ আ.লীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার আহত না হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’, বাতিল হলো ১২৮ জনের গেজেট নির্বাচন বানচালে হঠাৎ আক্রমণ আসার আশঙ্কা প্রধান উপদেষ্টার

প্রশাসন মাঠে থাকার পরও বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ায় হোম কোয়ারেন্ট মানছে না অনেকেই

  • তারিখ : ০৬:৫৪:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ এপ্রিল ২০২০
  • / 931

বুড়িচং (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
দিনব্যাপী এমনকি রাতেও কুমিল্লা জেলার বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপজেলার বিভিন্ন সড়কে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী জনগন যেন হোম কোয়ারেন্ট মেনে চলে সে লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে পৃথিবী যখন থমকে দাড়িয়েছে তখন বাংলাদেশেও সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সকলকে ঘরে থাকতে লিফলেট বিতরন, মাইকিং করাসহ মাঠে সকল দপ্তরের আইনশৃংখলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে অবস্থান করছে। এরপরও বুড়িচং ব্রাহ্মনপাড়ার বিভিন্ন সড়ক ও গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, অনেকেই মহামারি করোনা ভাইরাসকে তোয়াক্কা না করে হাট-বাজারে বসে আড্ডা দিচ্ছে। অপ্রয়োজনে বাড়ী থেকে বের হচ্ছে। ইতিমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে প্রশাসনসহ অনেকেই ব্যাক্তি উদ্দোগে এবং বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে দুস্থ্য, অসহায়সহ খেটে খাওয়া মানুষগুলো যারা কাজ করতে পারছে না তাদের বাড়ী বাড়ী খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিচ্ছে। বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরুল হাসান ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফৌজিয়া ছিদ্দিকা এবং বুড়িচং থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোজাম্মেল হক পিপিএম এবং ব্রাহ্মণপাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ আজম উদ্দিন মাহমুদ এবং সেনাবাহিনী কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন আলী হাসান, ওয়ারেন্ট অফিসার মোঃ মাসুদসহ সেনাসদস্যরা দু-উপজেলায় বেশ কয়েকদিন যাবৎ মাঠে থেকে জনগনের বাড়ীতে থাকাটি নিশ্চিত করতে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখতে, বাড়ী থেকে বের না হতে, অতিরিক্ত কোন খাবার মজুদ না করতে, মাস্ক, গ্লোব্স এবং হেন্ড স্যানেটাইজার ব্যাবহার করতে, সাবান দিয়ে ঘন ঘন হাত ধৌত করতে, একই জায়গায় একাধিক ব্যাক্তি না দাড়াতে ইত্যাদি বিষয়ের উপর জনসাধারনকে সচেতন করে যাচ্ছেন। কিন্তু সড়কে ও বিভিন্ন স্থানে দেখা যায়, অনেকেই মাক্স ছাড়া চলাচল করছে এবং কেউবা মাক্স ব্যাবহার করলেও তা গলায় নামিয়ে রাখছে। দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশনা থাকলেও আইনশৃংখলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে দোকান খোলা রাখছে। স্বাস্থ্য ঝুকি থাকা স্বত্বেও অপ্রয়োজনে অকারনে জমায়েত হচ্ছে। প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, মানুষের মাঝে জনসচেতনতার এখনো অভাব দেখা যাচ্ছে। মাইকিং ও হেন্ড মাইক ব্যাবহার করে বিভিন্ন ভাবে প্রতিদিন জনগনকে বাড়ীতে থাকার আহবান জানানো হচ্ছে। এব্যাপারে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে বলে তারা জানান।

শেয়ার করুন

প্রশাসন মাঠে থাকার পরও বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ায় হোম কোয়ারেন্ট মানছে না অনেকেই

তারিখ : ০৬:৫৪:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ এপ্রিল ২০২০

বুড়িচং (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
দিনব্যাপী এমনকি রাতেও কুমিল্লা জেলার বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপজেলার বিভিন্ন সড়কে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী জনগন যেন হোম কোয়ারেন্ট মেনে চলে সে লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে পৃথিবী যখন থমকে দাড়িয়েছে তখন বাংলাদেশেও সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সকলকে ঘরে থাকতে লিফলেট বিতরন, মাইকিং করাসহ মাঠে সকল দপ্তরের আইনশৃংখলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে অবস্থান করছে। এরপরও বুড়িচং ব্রাহ্মনপাড়ার বিভিন্ন সড়ক ও গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, অনেকেই মহামারি করোনা ভাইরাসকে তোয়াক্কা না করে হাট-বাজারে বসে আড্ডা দিচ্ছে। অপ্রয়োজনে বাড়ী থেকে বের হচ্ছে। ইতিমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে প্রশাসনসহ অনেকেই ব্যাক্তি উদ্দোগে এবং বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে দুস্থ্য, অসহায়সহ খেটে খাওয়া মানুষগুলো যারা কাজ করতে পারছে না তাদের বাড়ী বাড়ী খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিচ্ছে। বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরুল হাসান ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফৌজিয়া ছিদ্দিকা এবং বুড়িচং থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোজাম্মেল হক পিপিএম এবং ব্রাহ্মণপাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ আজম উদ্দিন মাহমুদ এবং সেনাবাহিনী কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন আলী হাসান, ওয়ারেন্ট অফিসার মোঃ মাসুদসহ সেনাসদস্যরা দু-উপজেলায় বেশ কয়েকদিন যাবৎ মাঠে থেকে জনগনের বাড়ীতে থাকাটি নিশ্চিত করতে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখতে, বাড়ী থেকে বের না হতে, অতিরিক্ত কোন খাবার মজুদ না করতে, মাস্ক, গ্লোব্স এবং হেন্ড স্যানেটাইজার ব্যাবহার করতে, সাবান দিয়ে ঘন ঘন হাত ধৌত করতে, একই জায়গায় একাধিক ব্যাক্তি না দাড়াতে ইত্যাদি বিষয়ের উপর জনসাধারনকে সচেতন করে যাচ্ছেন। কিন্তু সড়কে ও বিভিন্ন স্থানে দেখা যায়, অনেকেই মাক্স ছাড়া চলাচল করছে এবং কেউবা মাক্স ব্যাবহার করলেও তা গলায় নামিয়ে রাখছে। দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশনা থাকলেও আইনশৃংখলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে দোকান খোলা রাখছে। স্বাস্থ্য ঝুকি থাকা স্বত্বেও অপ্রয়োজনে অকারনে জমায়েত হচ্ছে। প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, মানুষের মাঝে জনসচেতনতার এখনো অভাব দেখা যাচ্ছে। মাইকিং ও হেন্ড মাইক ব্যাবহার করে বিভিন্ন ভাবে প্রতিদিন জনগনকে বাড়ীতে থাকার আহবান জানানো হচ্ছে। এব্যাপারে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে বলে তারা জানান।